বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে সিএসডি খাল দখল উৎসবে মেতে উঠেছে একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যূ চক্র। প্রতিদিনেই একটু একটু করে সরকারি খালের বেশীর ভাগ অংশই দখল করে তৈরী করছে অবৈধ দোকানপাট। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় কুচক্রি মহল এই অবৈধ দোকানপাট থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সিএসডির কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি খালটি।
অভিযোগ রয়েছে, এ সকল দোকানপাটে প্রতিনিয়তই চলছে কেরাম বোর্ডের অন্তরালে জুয়ার আসর, মাদক সেবন ও মাদক বেচা কেনার ধুম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ই¯পাহানি ঘাট হতে ই¯পাহানি বাজার পর্যন্ত সিএসডির সরকারি খাল দখল করে ৫০ থেকে ৬০ টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ দোকান স্থানীয় প্রভাবশালী ও নামধারি আওয়ামীলীগ নেতাদের দখলে। এ ব্যপারে একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, ই¯পাহানি এলাকার জসিম উদ্দিন মিয়ার দখলে রয়েছে ৫/৬টি দোকান, রমজান মিয়ার ২টি, আওয়ামী লীগ নেতা রাহাত মিয়ার ১টি জুয়ার আসর, ১টি অটোরিকসার গেরেজ ও ১টি ফার্নিচারের দোকান, রায়হান মিয়ার একটি অটোরিকশার গ্যারেজ, সোহেল মিয়ার ১টি অটোরিকশা গ্যারেজ রয়েছে। এ সকল দোকানের দখলীদের কাছ থেকে সিএসডির কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিনিময় পাচ্ছে মাসোহারা।
সিএসডির হেড দারোয়ান ফরহাদ হোসেন প্রতি মাসে সকল দোকান থেকে টাকা তুলে এবং নতুন কোন দোকান তোলা হলে মোটা অংকের টাকা দাবি করে হাতিয়ে নেন।
এব্যাপারে সিএসডির ম্যনেজার আক্তার হোসেনের সাথে আলাপ কালে বলেন, সিএসডির খালটি যারা দখল করে রেখেছে তারা স্থানীয় লোকজন। এদের একাধিক বার নোটিশ দেওয়া হলেও দোকান ভেঙ্গে নেওয়ার কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না তারা। তাদের অবৈধ দখলের কারনে বাউন্ডারির কাজ বন্ধ রয়েছে। আমি ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে দ্রুত উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবো। আর দোকান থেকে মসজিদের জন্য যে টাকা তোলা হতো তা এক বছর যাবত কোন দোকানদাররা এখন আর দেয়না।